১
আমার উঠোনে নাচত, তুই কেন ভাগিয়ে আনলি?
– আমি শুধু ছোবড়া...তুই শাঁসটুকু কেন একা খেলি?
এসব কুতর্ক থেকে দূরে কোন উপত্যকা থাকে
সেখানে ঘাসের কোলে কেউ তার ক্লান্ত মাথা রাখে;
লোকটা পথিক ছিল, বিধিবদ্ধ ছিল না নিবাস
কুঁড়ে বা প্রাসাদও নয়, এমনকি নয় কৃত্তিবাস।
টলোমলো পদক্ষেপ – হৃদয়ে গভীর ছিল গান,
কখনো প্রলাপ ছিল, কখনো বা সূফীর আজান...
আজ দেখো শুয়ে আছে...বন্ধুদের দমফাটা বুক,
সন্ততিরা অধোমুখ, তাদের অই সিক্ত চিবুক
কে আর মুছায়ে দেবে, কে আর বলবে : আলো জ্বালো,
বাউল, সৃজন করো, দেখো। গোষ্ঠে আঁধার ঘনালো...।
বাকিটা ছাড়ুন ভাই, মাল্যদান কেরাণীরই পেশাদার কাজ,
খোকা ঘুমোবার পর এখন তো বেশরম সাংবাদিক-রাজ।।#
#( বাকিটা ছাড়ুন ভাই, মাল্যদান অনেকেরই পেশাদার কাজ,
খোকা ঘুমে, পাড়া হিমে, এখন তো কেরাণীর রাজ।।)
২৮/৩/৯৫
সন্ধ্যা
# কবি এই দুটি ভার্সন রেখেছিলেন। দুটি ভার্সন-ই পাওয়া গেছে। যেহেতু তিনি নিজে কোনও ভার্সন স্থির করে যাননি, তাই দুটি ভার্সন-ই রাখা হল-- সম্পাদক)
মাছি
পচা জল-অবতল ফেটে যাচ্ছে বুড়বুড়ি কেটে;
বন্ধুরা,
এই আমাদের অবতরণক্ষেত্র।
...প্রতিটি গাছের নিচে শনি কিংবা শীতলার থান,
নর্দমার অন্তরালে সার-সার লুক্কায়িত মদের বোতল,
প্রতি মোড়ে ক্লাবঘর, নামগান, মাটি বহনের লরি,
সাট্টা-ঠেক থেকে সপ্তাহান্তে টপ্কে দেওয়া নাড়ু,
আর, হ্যাঁ – পৌরসভা-পঞ্চায়েত ইদানিং উন্নয়নে
আধলাও খরচ করেনি...
বন্ধুগণ, জমি কেনো, চারপাশে সীমাচিহ্ন দাও।
কবাডির কোর্ট কাটো, চালু হোক লাঠি-ছুরি এবং কারাতে,
সনাতন আগ্নেয়াস্ত্র আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে
সন্ধ্যায় শাস্ত্রপাঠ, তারপর অপরের পাতে
নৈশভোজ বমি করে সমবেত ধ্বনি তুলি এসো :
‘আমাদের প্রিয় নেতা রাম...।’
‘জয় ছিরি রাম।’
Baro bhalo laglo
ReplyDeleteকবি জয়দেব বসুর কবিতা মহাকালের বুকে পেয়েছে আসন.
ReplyDeleteরাজীব চৌধুরী