Friday, September 14, 2018

অগ্রন্থিত কবিতা- জয়দেব বসু.









আমার উঠোনে নাচত, তুই কেন ভাগিয়ে আনলি? 
– আমি শুধু ছোবড়া...তুই শাঁসটুকু কেন একা খেলি? 

এসব কুতর্ক থেকে দূরে কোন উপত্যকা থাকে 
সেখানে ঘাসের কোলে কেউ তার ক্লান্ত মাথা রাখে; 
লোকটা পথিক ছিল, বিধিবদ্ধ ছিল না নিবাস 
কুঁড়ে বা প্রাসাদও নয়, এমনকি নয় কৃত্তিবাস। 
টলোমলো পদক্ষেপ – হৃদয়ে গভীর ছিল গান, 
কখনো প্রলাপ ছিল, কখনো বা সূফীর আজান... 
আজ দেখো শুয়ে আছে...বন্ধুদের দমফাটা বুক, 
সন্ততিরা অধোমুখ, তাদের অই সিক্ত চিবুক 
কে আর মুছায়ে দেবে, কে আর বলবে : আলো জ্বালো, 
বাউল, সৃজন করো, দেখো। গোষ্ঠে আঁধার ঘনালো...। 


বাকিটা ছাড়ুন ভাই, মাল্যদান কেরাণীরই  পেশাদার কাজ, 
খোকা ঘুমোবার পর এখন তো বেশরম সাংবাদিক-রাজ।।# 

#( বাকিটা ছাড়ুন ভাই, মাল্যদান অনেকেরই পেশাদার কাজ,
খোকা ঘুমে, পাড়া হিমে, এখন তো কেরাণীর রাজ।।)  

২৮/৩/৯৫ 
  সন্ধ্যা

# কবি এই দুটি ভার্সন রেখেছিলেন। দুটি ভার্সন-ই পাওয়া গেছে। যেহেতু তিনি নিজে কোনও ভার্সন স্থির করে যাননি, তাই দুটি ভার্সন-ই রাখা হল-- সম্পাদক)


মাছি 
 

পচা জল-অবতল ফেটে যাচ্ছে বুড়বুড়ি কেটে; 
বন্ধুরা, 
এই আমাদের অবতরণক্ষেত্র। 

...প্রতিটি গাছের নিচে শনি কিংবা শীতলার থান, 
নর্দমার অন্তরালে সার-সার লুক্কায়িত মদের বোতল, 
প্রতি মোড়ে ক্লাবঘর, নামগান, মাটি বহনের লরি, 
সাট্টা-ঠেক থেকে সপ্তাহান্তে টপ্‌কে দেওয়া নাড়ু, 
আর, হ্যাঁ – পৌরসভা-পঞ্চায়েত ইদানিং উন্নয়নে 
আধলাও খরচ করেনি... 

বন্ধুগণ, জমি কেনো, চারপাশে সীমাচিহ্ন দাও। 
কবাডির কোর্ট কাটো, চালু হোক লাঠি-ছুরি এবং কারাতে, 
সনাতন আগ্নেয়াস্ত্র আধুনিকীকরণের কাজ শেষ হলে 
সন্ধ্যায় শাস্ত্রপাঠ, তারপর অপরের পাতে 
নৈশভোজ বমি করে সমবেত ধ্বনি তুলি এসো :  
‘আমাদের প্রিয় নেতা রাম...।’ 

‘জয় ছিরি রাম।’

2 comments:

  1. কবি জয়দেব বসুর কবিতা মহাকালের বুকে পেয়েছে আসন.
    রাজীব চৌধুরী

    ReplyDelete

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...