Thursday, September 13, 2018

তিনটি কবিতা- জ‍্যোতির্ময় মুখার্জি








সে তো খিল খুলবে না

মানচিত্র কখনো ঘরবাড়ি আঁকে না
যেমন ব‍্যবধান দুই হাঁটুর'ও থাকে
কথাটা উঠতেই পারতো কিন্তু সেসব অবোধ জানলা

যেটুকু বধির হয় নদী ফেরিওয়ালা হলে

শাওন শাওন সিঁড়ি
সে তো খিল খুলবে না





রং মাখালো খোলা হাত

তারপর মাপজোক
রং মাখালো খোলা হাত

হাতের তো কোনো দোষ নেই
মৃত মৃত উৎসবে পাখিরাও তো ঘরে ফেরেনি

এসো, দরজা খুলে এসো
সাজো, কাঁচা সবুজ ছিঁড়ে ছিঁড়ে সাজো
এসব মৃতদের জায়গা। তুমি ভরাট করে দাও
মাটি লেপে লেপে বানাও তোমার যুবতী শরীর




পাহাড়

আমি যখন ছোট ছিলাম, খুব ইচ্ছা ছিল পাহাড়ে চড়বো। কতো ছবি আঁকতাম পাহাড়ের। হাতে মাটি পেলেই বানিয়ে ফেলতাম পাহাড়। যখন কোথাও মাটি ফেলা হতো বাড়ি করবে বলে বা বালি, পাথর। তখন আমায় দেখে কে। আমার পায়ের চাপে পাহাড় বেচারি এলোমেলো

কিন্তু কোনদিন পাহাড় চড়া হয়নি। বাবাকে বলেছিলাম, বাবা পাহড়ে নিয়ে চলো। বাবা বলেছিল, সে তো অনেক উঁচু রে, পা ধরে যাবে, তুই বড়ো হ, তারপর পাহড়ে উঠিস যতখুশি

তখনই ঠিক করে নিয়েছিলাম। যেদিন বড়ো হবো, একটা পাহাড় পুষবো। প্রতিদিন সকালে পাহাড়ে চড়বো তারপর যখন সন্ধ্যা হবে। মা ডাকবে, বাড়ি ফিরে আয়। আমিও নেমে আসবো ঝর্না হয়ে

কতো কতো রাত স্বপ্ন দেখেছি আমার দাড়ি গজিয়েছে। কতো কতো পাহাড় জমিয়েছি রাত-ভোর। তারপর সকাল হলেই…...

আজ বেশ বড়ো হয়ে গেছি। দাড়ি’ও গজিয়েছে। তবে রাখি না, কেটে ফেলি। ক্লিন্ সেভড্। বউ বলে খোঁচা লাগে

আসলে ও তো জানে না, আমার আজ কোনো পাহাড় নেই। আমার ঝর্নারাও শুকিয়ে গেছে পাহাড়-ভয়ে

2 comments:

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...