Thursday, September 13, 2018

কবিতা কৌস্তভ গাঙ্গুলী





মত যত রকমের হতে পারে ...



এই যে তুমি উদোম  , ল্যাংটো বলতে পারছি না কারণ , পেটে আর মগজে  কাঁড়ি কাঁড়ি পুণ্যাত্মা ইগোনেস

ঠিক যেমন করে , ধর্ষক পুলিশ বিচারক ডাক্তার  ইঞ্জিনিয়ার পুরোহিত সরকারী চাকুরে প্রত্যেকের বাবা জ্যাঠা কাকা দাদু সম্মুখস্থ নারী সঙ্গম করে - আবার , মুখে এল না কোট আনকোট ইতর প্রোনানসিয়েশন .....

আমিও সেভাবে করব ... ভালোবাসা মন্দবাসা তেজ লাথি ঘুষি উৎপাটন লেহন ৷ ইত্যাদি বিশেষণ , ক্রিয়ায় পাঁচটা ইন্দ্রিয় বেঁধে একজন পুরুষকে শৈব সাধনা দেব  ...

তুমি ... বুঝবে দেখবে শুনবে হি হি হাসবে  চিৎকার অথবা কাঁদবে

তারপর .... বোলো — 

প্রবাল গাত্র বিল্ব মিথুন অনুযায়ী কোন ক্যাটেগরির




ফলার

এইমাত্র টপটপ টিকিটিকি ডিমের মতন বোঁটা খসিয়ে শুয়ে আছি
শরীর গোটা আম্রপল্লব খেয়ে থমথমে— দানব পাখিরালয়
এ মরুদ্যানে গাভীর হাড় পাঁজরে গীতা নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড বুনোফল কাটে
পাখিরালয় থেকে পাখি উঠে আসে হেঁটে,
চঞ্চুতে ষোড়শী কোয়া

আমার সুস্থ জীমূত খামে লেগে আছে
চটচটে বেলা বয়ে যায়
পেটেতে পিউপা ধরে খোল কাটি শুঁয়ো শুঁয়ো রোম
প্রজাপতি চেরা দেহ মধু ছেড়ে ক্লান্তি হাঁপায়

বুনোফুল ফল খেয়ে সারা ফলার
উদগারে কী ভীষণ ! শত সহস্র আরব্য রাত উট ক্রোমোজমে হজমে নিলাম

নারীদের যোনি আছে ৷ পুরুষের জিভ 
জোঁক লাগা ছিন্নচিকুর
কুঁজ থেকে জল পড়ে কাঁটা বাছা গাছ
জন্ম আঁতুর




বনজ মাস


আঙুরলতার মতন পেলব দিনযাপণের পর আমাদের বহিরাগত সাযুজ্য খোঁজার পরবকাল

রোহিতাশ্ব ভর দিয়ে উঠে আসা শবর চাঁদ
মরা কোটালের ময়ূরাক্ষী বশীকরণ পাড় হলে হেতাল বন পায় স্থিরতার কোল

হায় বনজ হায় বংশী ওষ্ঠে নিগূঢ় পুরুষ
জপতপে কৌণিক অপচ্ছায়া স্থির হলো
নাভিচক্র মাস, অংশভেদে উড়ে যাবে 
ঘোটকীর জাত— কেশর বিধি

এসকল চঞ্চল অথচ 
জৈবনিক স্থিতপ্রাজ্ঞ বাসনা কাল
থিরিথিরি ময়ূর সোনা চূড়ো
পাথর মৃত্তিকা রূপপাশে ঊরুজাত তির্যক ঢং-এ
পাহাড়ি আঙিনার ধাপ কেটে হাসি রাখা মেয়েদের ওষ্ঠ ফাটল ....

দূরে তপোভূম বিন্ন্যাসী দূরে মধু চুঁয়ে নেমে আসে ভান্ড ভালুক

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...