Friday, September 14, 2018

‘গু’ অর্থে অন্ধকার ‘রু’ অর্থে আলো--সুন্দরম রু





ওঁ অজ্ঞান-তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জন-শলাকয়া
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।

"গুরু গীতা"র ১৭ নং শ্লোকে ধরা আছে, "গুরু" শব্দটির অর্থ । "গু" অর্থ অন্ধকার, জ্ঞানের অভাব; অজ্ঞান-তিমিরান্ধস্য। "রু" অর্থ যিনি আঁধার নিরসন করে, এই তমসার পারে নিয়ে যান--- জ্ঞানাঞ্জন- শলাকয়া চক্ষুরুন্মীলিতং যেন; জ্ঞান চক্ষুর উন্মেষ ঘটান। পরমহংস বলেছেন, যাবৎ বাঁচি তাবৎ শিখি। জুতোজোড়া খুলে রাখার বহর দেখেও মানুষ চেনা যায়। লোকশিক্ষের এও না-কি এক অঙ্গ! অছেদ্দার পাত্র কেউই নয়। সবার আমি ছাত্র। পিঁপড়েদের সারিবদ্ধ যাত্রা আমাকে শিখিয়েছে দমদম মেট্রোতে অফিস টাইমে টিকিট কাটার সময় কিভাবে ধৈর্য ও সরলরেখায় লাইন বজায় রাখতে হয়। ডেঙ্গুর লার্ভা এবং নর্দমার পোকা শিখিয়েছে, for an epidemical revolution and mutation, size does not matter at all. ঝরা পাতা শিখিয়েছে, মৃত্যুর পরেও অঙ্গদান কিভাবে জীবনদায়ী হয়ে উঠতে পারে। ক্যানিং ও বনগাঁ লাইনের ট্রেন আমাকে শিখিয়েছে, যদি হও সুজন তেঁতুল পাতায় সহস্র-কোটি জন। পার্ক সার্কাস রেললাইনের ধার বরাবর ঝুপড়ি পট্টি শিখিয়েছে, শখের দাম লাখ টাকা; তেমন তেমন মন থাকলে, পোষা যায় সাধের হিন্দিগানের বুলি আওড়ানো ময়না, পেটে দুবেলা ভাত সময়মতো পড়ুক আর না পড়ুক। আমার যাত্রাপথের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন এইসব মহতী গুরু। আমি তেমন ভালো ছাত্র কোনোকালেই নই, ফলে অনেক শিক্ষাই গ্রহণে অক্ষম। তবে জীবন বড় বেহায়া মাগী। ঠিকই শিখিয়ে পড়িয়ে লায়েক করে নেবে। তার কাঙ্ক্ষিত অর্গাজম এবং ক্ষেত্রবিশেষে তোমার শীঘ্র ও অবশ্যম্ভাবী পতন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি নাই। এ সেই বাউল-ফিকিরি সাধনার মতো। শ্বাস ধরা ও ছাড়ার খেলা। কুম্ভক ও রেচক। এই খেলায় পাটোয়ার হতে হলে আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে। জঙ্গলে বেঁচে থাকতে হলে মানতে হবে তার নিজস্ব অনিয়মের নিয়ম। তবেই পাওয়া যাবে গুরুর সন্ধান।  গুরু রয়েছেন সংগোপনে। তাঁকে আবিষ্কার করতে হবে নিজস্ব গরজে। সেই গরজ থেকেই চোখ-কান খুলে রাখা, সজাগ রাখা। কেননা,
আপনারে আপনি দেখ, যেও না মন, কারু ঘরে।
যা চাবে, এইখানে পাবে, খোঁজ নিজ-অন্তঃপুরে।।
পরম ধন পরশমণি যে অসংখ্য ধন দিতে পারে,
এমন কত মণি পড়ে আছে, চিন্তামণির নাচদুয়ারে।।

এবার গৌরচন্দ্রিকা উজিয়ে আসুন সঙ্গ করি কতিপয় জগতগুরুর। জয়-গুরু।

আনারকলি
"আপনাদের গায়ে গাছেদের অভিশাপ
কোথায় লুকোবেন গাছ কাটার পাপ
হরি হরি বলো, বলো গোবিন্দ গোবিন্দ
আনারদানা চুষতে চুষতে করো আনন্দ"

আমি পেয়ে যাই দিনের প্রথম গুরুদেব। হাসনাবাদ লোকাল। গুরুদেব উঠলেন বিধাননগর থেকে। তাঁর পথচলতি বিধান ও মুখে মুখে ছড়াকাটা নিদান নিয়ে। "গ্যাস, অম্বল, পেট গুড়গুড়, পাতলা দাস্ত--- জিজ্ঞেস করে দেখুন তো আপনার বাপ-দাদার আমলে হতো কি না? আমি বলছি, দাদারা-দিদিভাইরা হতো না। কারণ তারা হাসতে জানত। তখন মেহমুদ বেঁচে ছিল। মেরা নাম জোকার ছিল। ভানুবাবু ছিলেন। তুলসী চকোত্তি ছিলেন। আর ছিল গাছতলার আড্ডা। আর এখন, গাছগুলো বলছে, তোমাদের রক্ত লাল, আমাদের সাদা। তাই বলে কি আমাদের লাগেনাকো ব্যথা? গাছগুলো কাঁদছে। দাদা, গাছ নেই। ঝড় আছে। গাছ নেই, বন্যা এসেছে। দাদা গাছ নেই, মাটির পেটে জল পচে গেছে। আর সেই জল খেয়েই তো আপনাদের শরীর ব্যামোর মন্দির। তাই বলি, স্যাম্পেল নিন। লজ্জা করবেন না। মুখে পুরুন। চুষতে থাকুন আনারদানা আর একটা গাছ কাটলে লাগান পাঁচটা গাছ। তবে হ্যাঁ, পাঁচটা লাগালে যদি দুটোও বাঁচে, যতদিন না গায়ে গতরে লায়েক বনে, ডালপালা ছেয়ে আপনাদের গুরুজন হয়ে ওঠে, ততদিন নিয়মিত খেয়ে যান, একশ আট রকম গাছগাছড়া; নিম-তুলসি-বাসক-বহেড়া-আমলকী-হরতুকি-কাঁচা হলুদ-ত্রিফলা-চন্দন বাটা-নিস্যন্দী-কাঁচাবেল ইত্যাদি ইত্যাদি চূর্ণ করে তৈয়ারি এই কবিরাজি বটিকা। বড় ঘরে বসা মাত্রই মাল খালাস। প্রাণের আনন্দ। গোবিন্দ গোবিন্দ। গাছের শাপ মহাপাপ। সময় থাকতে পেট সাফ। নাহলে আছে চাপের বাপ। দশ টাকা দশ টাকা দশ টাকা। দেখা শোনা ফ্রি। কেনা কাটা আপনার মর্জি। শিয়ালদা পর্যন্ত আছি। দাদারা দিদিভাইরা পেট পরিষ্কার যার মন পরিষ্কার তার। আনারদানা আনারদানা আনারদানা।"
আমি শিখি, কথা বেচে খাওয়া কাকে বলে। কাকে বলে হাজারো প্রতিকূলতা সত্যেও ভিতরের মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারা। নিজের পেশার শত প্রতিবন্ধকতাকে ঘুরিয়ে দেওয়া মানব-হিতৈষণায়। সন্যাসধর্মের এটাই তো মূলকথা। আত্মানো মোক্ষ্যার্থম জগৎ হিতায় চনিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস ও আত্মসম্মান না থাকলে বলা যায় না, ‘আমার আনারদানা আর কথা, দুটোই সমান উপকারী। ফলদায়ী। মানলে আপনার ভালো না মানলে ডাক্তার বড়লোক হলো। আপনারা শুনেছেন যতদিন শ্বাস, ততদিন আশ। আমি বলি, যতদিন আছে গাছ, ততদিন নিঃশ্বাস।

বিফলে মূল্য ফিরৎ নাই
সময় ও বয়স আমায় শিখিয়েছে ওপরের গুরুমারা বিদ্যা। জিন্দেগিকে সফর মে গুজর যাতে হ্যায় যো মকাম, ওহ্ ফির নেহি আতে, ওহ্ ফির নেহি আতে...পিছনপানে যাওয়ার উপায় নেই। মেনে ও মানিয়ে নিতে হবে এই চরম অপ্রিয় সত্য। সময় এমন একটি ভৌতরাশি, যার মাপজোক ও অস্তিত্ব পদার্থবিজ্ঞানের গবেষকদের বারবার ভাবনা-চিন্তার ও নতুন নতুন থিওরির খোরাক জুগিয়েছে। সময় যদি অন্য তিন মাত্রার মতো চতুর্থ এক ডাইমেনশনই হবে, তাহলে অন্য তিন মাত্রার মতো সময়রেখা ধরে আগুপিছু করা যায় না কেন? ইচ্ছে করলেই কি একবার ঢুঁ মেরে অতীতে ঘুরে আসা যায়? বা টুক করে ভবিষ্যৎ দেখেশুনে এসে, সেইমতো পরিকল্পনা করা যায়? সময়-যাত্রার ট্রামের টিকিট আজও আমাদের নাগালের বাইরে। এখনো অব্দি আমাদের বিজ্ঞান, আমাদের প্রযুক্তি এই খেলা দেখাতে অপারগ। সময় আমাদের গলায় বকলেস বেঁধে রেখেছে। আমরা কালের দাস। সময় আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে, যে বয়স ও যে সময় পেরিয়ে এসেছি, তার ছায়া স্বপ্নে ও স্মৃতিতে মেঘ-রৌদ্র খেলা খেললেও, সেই নারীকে, পাহাড়ের হু হু বাতাসে অকস্মাৎ জড়িয়ে ধরাকে, ক্লাস সেভেনে বাথরুমে ঘটে যাওয়া প্রথম রোমাঞ্চকে, বড় মেসোনের বিনা নোটিশে দুম করে পাঁচ মিনিটে চলে যাওয়াকে--- কোনো কিছুই আর ফিরৎ পাওয়ার যো নেই। গতস্য শোচনা নাস্তি। সময়কে অতিক্রম করতে পারে একমাত্র আমাদের কৃতকর্ম। আমাদের কাজ। আমি থাকবো না, আমার কাজগুলি থাকবে। আমার নাম থাকবে না, আমার সৃষ্টি থাকবে। মহাকাল আমাদের এই শিক্ষেই দেয়, ক্ষুদ্র আমিত্বের ঊর্ধ্বে উঠতে শেখা, তার অনুশীলন। সময় ও বয়স ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে দেখিয়ে দিচ্ছে ইহা নিউটনের প্রথম গতিসূত্র। একমুখীন সরলরৈখিক গতি। যদি ব্যতিক্রম চাও তো আলোর থেকেও দ্রুত ছুটে দেখাও। বাই দ্য ওয়ে, গেছো দাদার মতো চল্লিশের পর আবার বয়সটাকে পিছনপানে যারা ছুটিয়ে দিতে চান, তাদের জন্য বাস কন্ডাকটরের জবানী: 'আস্তে আস্তে পিছন দিকে এগিয়ে যান।'

মিত্রোঁওওওও...
স্কুলে জোছনা দিদিমণি কান মুলে মুলে নাদান বাচ্চাকে যা শেখাতে পারেননি, এই লোক (না-কি থরের ভাই লোকি!) তা আচ্ছা মতোই শিখিয়ে দিয়েছেন। বিপরীতার্থক শব্দ। জন এবং গণ চিরদিনই জানে, নির্বাচনী বুলিকে সিরিয়াসলি নিতে নেই। ওগুলো বলার জন্য বলা। ঢপের চপ। তবে আমাদের গাঁ-গঞ্জের, মফস্বলের চা-অলারা কিন্তু সচরাচর গ্যাস দেয়না। গুঁড়ো দুধকে গরুর দুধ বলে চালানোর হীনতা নেই তাদের। চিনির বদলে স্যাকারিন, এই জিও-পাগলা যুগেও তাদের স্বভাবে নেই। কিন্তু সময় বদলাচ্ছে 5-G-এর থেকেও দ্রুত। তার ওপর হাতের সামনে গরম ধোঁয়া ওঠা দৃষ্টান্ত রয়েছে। পরিসংখ্যান উল্টে দেওয়া জিডিপি, বিশ্বাস যা অন্ধ তাকে যুক্তি বলে চালিয়ে দেওয়া, অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান, অনৈতিহাসিককে ইতিহাস বলে গছিয়ে দেওয়ার এই মিথ্যা বচনই তো এখন আমাদের চায়ে পে চর্চা; কড়োয়া সচ। ফলত, অচ্ছে দিন বললেই আপনি আপনাআপনি বুঝে গেলেনে বুরে দিন। কালাধন নিকেষ মানে কালোটাকা সাদা ও সুইস করার খ্যাচাকল। মিত্রোঁ মানে যে বন্ধু পিঠে ছুরি মারে। সেকুলার মানে 'অজাতশত্রু রাজা হলো যবে...'ইতিহাস অর্থে যা ঘটেনি তাই সিলেবাস। তাজমহল মানে শিবালয়। জনন বলতে ময়ূরের চোখের জল। বিজ্ঞান ও যুক্তি অর্থে বেদে যা আছে। এবং গণতন্ত্র মানেই তো বিরুদ্ধ মতের গলাটিপে খুন। এই জমানা আমাদের শিখিয়েছে, জগদ্দল ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে, বর্ণবাদ ও মনুবাদের বিরুদ্ধে, খাঁকি হাফ প্যান্টের বিরুদ্ধে বলেছ ও লিখেছ তো তোমার কপালে গৌরি লঙ্কেশ বা কালবুর্গি নাচছে। ঘাড়ে ধরে শিখতে বাধ্য করেছে, আপনার বেডরুম থেকে ব্যাঙ্ক-অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক থেকে ফিজিক্যাল আউটপুট--- সবেই আধার নথিভূক্ত করুন। সবার ওপরে আধার সত্য, তাহার ওপর নমো। অর্ধ শতক যে দেশে আপনি আছেন, এক ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানলেন, সব ঝুটা হ্যায়। এ দেশ আপনার নয়। আপনার অস্তিত্বই মিথ্যা। কারন আপনার নাম ভোটার তালিকায় নেই। স্বস্তিক চিহ্ন আর ইদানীং সনাতন শান্তি-স্বস্তির বাণীর কথা বলে না। স্বস্তিক মানেই নাৎসি। এইকথা সারসত্য যে, আপনি নজরদারি ক্যামেরার আওতাধীন। স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষে এর থেকে বড় শিক্ষা আর পেয়েছেন কি?

কভি কভি লাগতা হ্যায় আপুন হি ভগবান হ্যায়!
মনে হয়েছিল কোমর ভেঙে যাবে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। আসলে অভ্যাস এমনই। এক দশকের সহবাস ও অভ্যাস। আজকে যখন চিঠি লেখালিখি যাদুঘরের নিদর্শন, এই যুগেও আমি পেতাম লম্বা লম্বা চিঠি। তোমার খানিক আঁকাবাঁকা হস্তাক্ষরে। মিহি জাপানিজ নকশাতোলা কাগজে। এবং ল্যাভেন্ডারের সুবাস। তোমার নিজস্ব গন্ধ। সেইসব চিঠিপত্র, আশ্চর্য গোলাপ, অরিগ্যামি ফুলদানি, কাগজের প্রজাপতির ডানা বিস্তার এক লহমায় ছিন্ন করে তুমি সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে তোমারই জন্মদিনে। কেন বেছে নিয়েছিলে ঐ দিন? যে দিনে তোমার জন্য, কেবল তোমার অবুঝ আবদারে আমার ভিতর থেকে উৎসারিত হতো, জন্মদিনের কবিতা। আছে সেসব এখনো তোমার সিন্দুকে? অবশ্য এসব এখন অবান্তর।
তোমার এই উবে যাওয়া, উদ্বায়ী তরলের মতো, আমাকে ব্রিজের তলায় দাঁড় করিয়েছে। যে সেতু উড়তে উড়তে হঠাৎই আছড়ে পড়েছে ভুঁইয়ে। আর তখনই আমি দ্বিতীয়বার আবিষ্কার করলাম তোমায়, গুরু অবতারে। সেই তুমি আমায় বললে, 'রক্ত মাংসের উপস্থিতি তো সবকথা নয়! আমি আছি'যেমন ছিলে তার থেকেও ঘন হয়ে, নিবিড়। অথবা না থাকলেও, ধ্যানে আজ্ঞাচক্রে আলোক উদ্ভাসিত না হলেও, ভেঙে পড়া চলবে না। ঈশ্বর যদি ভক্তবিমুখ হন, তখন স্বর্গ আক্রমণই বিকল্প পথ। তাই তুমি যে ছুরি পিঠে মেরেছ, তা হয়ে গেছে আমার কশেরুকা। আমায় দিয়েছে সেই অমোঘ শক্তি, নিজেকে অতিক্রম করার। আরো শক্তপোক্ত শিরদাঁড়া। বেদনার অলঙ্ঘ্য পাহাড় ডিঙানোর মানসিক জোর। ভেলিয়াম, অ্যালপ্রোজোলাম উজিয়ে স্বাভাবিক ঘুম নিমন্ত্রণের প্রক্রিয়ায়, তুমিই কি ছিলেনা আমার সাধনা-মা? একদিকে যখন উন্মাদতর হয়ে উঠছি তুমি-শূন্যতায়, তখন তুমিই তো আমায় স্বপ্নাদেশ দিয়ে বুঝিয়েছ: 'আমি তোমায় পূর্ণ করেছিলাম। এখন, আমি বিহনে তুমি আবার পূর্ণ হলে। পূর্ণ থেকে পূর্ণ বিযুক্ত হলে পূর্ণই তো থাকে।
"ওঁ পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে
পূর্ণস্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।"

আর একবার যখন নিজেকে অতিক্রম করা যায়; নিজস্ব অপারগতা, নিজস্ব দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা টপকে যাওয়া যায়, তখনই তো আমরা হয়ে উঠি ভগবান। অজর অমর। হে আমার রেখা সুবরণ রুহিনী নদী, আমায় ত্যাগ করার জন্য এবং নিজেকে আবিষ্কার করার পথ বাতলে দেওয়ার জন্য তোমায় আভূমি প্রণিপাত।





2 comments:

  1. Khuub valo laglo tor jagater ojosro guru der kotha... Akta quotation mone elo.. Khanikta prasongik hotei hobe :" A hungry stomach, an empty pocket and a broken heart teach you the most valuable lessons of life." Ar best legeche "kavi kavi apoon ko bhagban lagta hain".. 💖 Struggle(in any form) chara life boddo shallow..

    ReplyDelete
  2. বন্ধুদের এই বার্তাগুলোই তো অনুপ্রেরণা দেয়। লিখতে ইচ্ছে করে। ধন্যবাদ...

    ReplyDelete

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...