রজঃস্বলা রাত
১) সৃষ্টি
পুরুষের মতো-
কথার স্রোত নদীতে মিশে থাকে, এবং
ধুলোখেলা বরাবরেই যৌনতাকে ডাক দেয়
বলেই আজকাল অরোমান্টিক পঙক্তির
শীৎকারে কবিতার অর্গাজম হয়...
বাঁধানো দাঁতে মাঝে মাঝে
অঙ্কের ফর্মুলাও ফোকলা হয়ে পড়ে
নিকোটিনে নখের জং ধরা রঙে সভ্যতার
আঁশটে গন্ধ লেগে থাকে।
পৃথিবীর প্রতিটি রাত এখনো রজঃস্বলা হয়
২) লগ্নি
চুপিসারে কথাগুলো ভাগ হয়ে যায়
চুমুর মতো আনুভূমিক আগুনের তাপে
অন্তঃসত্ত্বা জ্যোৎস্নারা সাধ খেতে চায়
কামুকের ভগ্নদশা কুয়াশা বানায়! শামুকের মতো শুধু
খোলা তার নেই, পাঁচমিশালি পাঁচালির কয়েকটা চাট
অনিষিক্ত নির্মেদ খেদগুলো সঙ্গিনী খোঁজে
রাতের ঢাউস বিকার, প্রজন্মের দোষ...
মাটির গভীরে দুধ, দুধের গভীরে জল, ধু ধু হাহাকার
একফালি মেঘ নিয়ে ঘরের মতো
জন্মদাগে বিয়োগ শেষের পাতা
অক্ষয় ভরবেগ, বাস্তুহারা, শোক গুণে লগ্নি করে...
ত্রিভূজের কোণাকুণি প্যারাডাইস লস্ট
৩) শিল্পী
শালারা সব বেজন্মার দল!
(২৪x৭+১২x৩৬৫)x৪২= ❤
কাকভোরে নেচেকুঁদে ঘুম ভেঙে
সকালের মেঘকরা আকাশটাকে
চিবাতে চিবাতে খবরের কাগজ
খুলে বৃষ্টি আনলাম।
বীর্যের মতো দ্রুততায় শুরু করা
একটা দিন সোনার গলনাঙ্কের সন্ধানে
বেরিয়ে পড়ল। সেদিন থেকেই
পৃথিবী রেতঃপাত করে যাচ্ছে...
আসলে ঘর জ্বালানো পর ভোলানোর
ক্যালিতো সবার থাকে না~~
যাদের থাকে তারা ভাদুরে কুত্তার মতো
আটকাতে আটকাতেও শিল্পী হয়ে যায়
৪) গুণিতক
বমি হয়ে গেলেও ওই মাংসল ধাতব দণ্ডের কৌমার্য
হরণ করো। নাহলে কিসের নারীত্ব?
ত্রিভূজাকার পৃথিবীর মালিক ওরা
তোমাদেরও হতে হবে, ওদের মতোই;
লম্বটির স্থিতিস্থাপকতা আজ তোমাদের...
সকালের চা অবশ্যই স্তনলগ্না হতে হবে
না হলে আমেজ আসেনা, ভাই।
এসো শুয়ে পড়ি। এখনও ঘুমলে লোকে
মৃত ভাববে না। কয়লার যোজ্যতা নিয়ে
মৃতজীবী চিন্তা বড়ই বেমানান...
তাই অযোনিজ স্তব্ধতাকে অনেকে
অমাবস্যার সরল গুণিতক ভেবে নেয়। যদিও...
৫) জাল
দিনান্তে একপেশে খঞ্জনি খিদে
বিরক্ত লিটমাস ছুঁয়ে রাখা দায়,
হাকুচ তেতো ওর বদলানো রঙ
জোনাকির আলোর কালশিটে দাগ!
নিছক আদিখ্যেতা বালির সোপান
ধোঁয়া মেখে নেকি সুরে ভালোবাসা চান!
মিষ্টির সুরমাতে দৃষ্টি কঠিন
গোয়াল ঘরেতে চলে মেকি হরতাল
একপেশে পর্ণতে ব্যাটারি খরচ
নদীতে বিছানা পাতি মাকড়সার জাল...
No comments:
Post a Comment