Friday, September 14, 2018

দুটি কবিতা রাজর্ষি দে





কৃষ্ণকলি - ২

মাঝবয়সের নিশ্বাস লাগে
ক্লান্ত স্থূল শরীরে
তোমার কৃষ্ণআঁধারে আলো জ্বলে
জানি এখনো ছুঁয়ে দিলে চৌচির হয়ে যাবে চরাচর
বহু ব্যবহৃত দেহ আজও কস্তূরী গন্ধ ছড়ায়
যত বিষ তত ছুঁয়ে থাকি
অন্তত ভাবি যে ছুঁয়ে আছি
তোমার দ্যুতি বেপাড়ার গ্রহে আলো দেয়
চাঁদ তারা এসব উপমা জীর্ণ জানি
কিন্তু ব্যর্থ কবি কতটুকুই বা পারে
তোমার ফোঁটা ফোঁটা কাজল 
ঘিরে থাকে  আমার রাতের কৃষ্ণগহ্বরে 
আশা রাখি আমার নির্ঘুম রাত
তোমার চোখের ইনসোমনিয়া খেয়ে নেবে
যেভাবে তোমার কালো হাসি
আমার দিন খেয়ে নেয়

কৃষ্ণকলি - ৩

হঠাৎ প্রেম মানুষকে ভিখারী করে
এসব জানা কথা
তবু তোমার চোখের চিকমিকের রাস্তায়
কথা জন্মায়
আর কথারা প্রতিধ্বনি না পেলে বিষ হয়ে যায়
বিষের পাহাড় বাড়তে থাকলে বুঝতে পারি
এখনও সেই একই বিন্দুতে আঁটকে আছি
যেখানে তোমার পায়ের ছাপ শোনা যায় শুধু

নীল হতে হতে ঘোর জ্বর আসুক
আমি সকালের রোদের অপেক্ষা করি
ঘোর কাটলে জ্বর স্মৃতি হয়ে যাবে
আর কে না জানে
স্মৃতি সততই সুখের!

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...