Thursday, September 13, 2018

তিনটি কবিতা কিংকর চক্রবর্তী





আমাকে শরীর ভেবে ছিঁড়ে খাস তুই

আমাকে শরীর ভেবে রাত্রি খুলে উঠে এলি তুই
আকাশে আগুনজ্বর, তারা পাঠ বুকে নিয়ে শুই
সেসব আশ্চর্যলিপি গ্রহণে গ্রহণে করে গ্রাস
আমি কি জীবিত আছি ! নিশুতি রাতের বুকে ত্রাস
এজন্মে দুয়ার খুলে রাত্রিভর শিশির বিলাপ
আমাকে শরীর ভেবে জেনে নিস কথার খেলাপ
কতটা পুড়েছি আমি বোঝে কি নদীর হাঁটুজল!
নদী নামে জতুগৃহ দাউদাউ কবির অতল
প্রলাপ মাথায় নিয়ে প্রতিদিন শুই
আমাকে শরীর ভেবে ছিঁড়ে খাস তুই...


বালক-বালিকাপুর

বটগাছের জটলা
নিঃসঙ্গ দুপুর
আর সময় থমকে যাওয়া তোর আমার চোখ
ভালো আছিস, নিঃসঙ্গ ফ্ল্যাটের দুপুর?
আমি সেই গ্রামে, বটের বালকঠাকুর
দুপুরকে আদর করি
বাকল খুলে আসে পাণ্ডুলিপি
হলুদ রঙের ঘ্রাণ !
গ্রামেরও অতীত গ্রাম
নালন্দা, তক্ষশীলারও আগে
এক বালিকাপুর
আশ্চর্য দুপুর


অশ্বমেধ

লাঠিসোটা, রামদা, তির
কত ভল্ল সাজিয়েছ!
প্রাণ দেবে গ্রামীন ফকির
বারুদ, বন্দুক, গুলি
তৃণাদপি সুনীচেন নদীয়া নিমাই
রক্তমুখে পড়ে আছে জগাই- মাধাই।
কীর্তনের প্রেমগন্ধে
আজও ভরে আটচালা ঐতিহ্য প্রাচীন
এ-পাড়া, ও-পাড়া জুড়ে নবান্নের দিন
অশ্বমেধ,  রাজ্যজয়
রাত্রি মেখে শুয়ে আছে গ্রামের সাকিন।                                                                                



No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...