Thursday, September 13, 2018

একগুচ্ছ কবিতা শ্রেয়া চক্রবর্তী





স্নান

এক.
নিজেকে স্নান দেবো বলে রূপকের ঘাটে গিয়ে বসি
পানা জলে শ্যাওলায় রাজহংসের মতো
ঠোঁট দিয়ে ঘেঁটে দেই সুখ .....
বিহ্বলতায় অনবদ্য সাবান ঘষে ঘষে
ভেসে যাই ধীরে, বহমানতায় .....
বালিশ আঁকড়ে থাকা ভোরে 
কলিংবেল বাজিয়ে ফিরে যায় নির্মোহ জীবনের ডাক,
এত স্হবিরতা জমে আছে তাই
শাড়িটি গিয়েছে গেঁথে রূপকের ঘাটে
অযথাই, মোহমুগ্ধতায় .....


দুই.
সিন্দুক কোন ভ্রম নয়
অনেক প্রবাহের শেষে পদতল ঠেকামাত্র
যদি বা ঝনাৎ হয়
ফিরে দেখার ইচ্ছেটুকু ধুয়ে যায় ফেনায় ফেনায়,
যে ব্যথা রেখেছো তার গভীরতা ব্যাপী
পরতে পরতে লেগে আছে বুদবুদ প্রণয়
এ'ব্যথা তোমার শুধু আর কারো নয়
ভেবেছো বলেই তাকে খোলা বড় দায় .....


তিন.
দু'ধাপ সিঁড়ির নীচে শুইয়ে দিয়ে গেছে
মথিত জীবনের লাশ
এখনো স্পন্দন আছে মৃত্যুহীন বোধে
ছোঁয়া মাত্র কেঁপে ওঠে,ঢেউ জাগে অপ্রস্তুত ঘাটে
হাতের নাগালে নিয়ে প্রবন্চ্ঞক আলো
বসে থাকি দু'ধাপ নীচে শিকারীর মতো
পায়ের পাতায় লেগে কেঁপে ওঠে জল
মনে হয় এ'স্নানের সবটুকু ভালো .....


চার.
আর আসবোনা কোনদিন অসময়ে
গায়ে জল লেগে পার হয় স্নানান্তর কাল
হঠাৎ ডাক আসে যেখানেই থাকো
ফিরে তো যেতেই হয় ঘরে পুণর্বার,
তার চেয়ে ঘুম থেকে না ওঠাই ভালো
ফিরে যাক যে ফেরার প্রজ্ঞাহীন ভোরে
ঘুমের ভেতর জল অফুরন্ত স্নানে
নেবেই আমায় টেনে ক্রমশ অন্তরে .....

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...