শুদ্ধিপত্র
বেজে যায় ঘন্টা
এক
দুই
তিন
আমাদের গুনে চলা অভ্যেস
সিঁড়ি বেয়ে
উঠতে থাকে সাদা ফ্রক পরা মেঘ
মইয়ের অপরপ্রান্তে তখন বৃষ্টির ফাতনায়
গেঁথে গেছে একটা পেটকাটি ঘুড়ি
ঘন্টার চরৈবেতি
টেবিলের উপর পড়ন্ত দুপুর হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে
আছেন আমার পুরোনো
দিনের মাস্টারমশাই
সারা হাত মাখা চক
নাকি শুদ্ধিপত্র
উনিও আকাশে ঘুড়িদের কতো নামে ডাকতেন
চাঁদিয়ালকে বলতেন ধূমকেতু
মোমবাতিকে আদর করে ডাকতেন মেঘনাদ
আর ঘন্টা পড়লেই হারিয়ে
যেত ঘুড়িগুলো
উনি তখন বৃষ্টির মতো ঝরে পড়তেন আমাদের চৈতন্যের উপর
আজও সময় মতো
ঘন্টা গুনি
আর ফ্রক পরা মেঘেরা আমার হাতে পরিয়ে দেয় রাখি
কেবল
মাস্টারমশাইয়ের মতো বৃষ্টি হতে পারিনা।
শীত হাত
শীত হাতে ছিল তার দিগন্ত বিস্তৃত
ছিন্নমূল বেদনার কুঁড়ি
আমি তাকে জানি
সে আমাকে বলেছিল
গাছ হোতে
ফুল হোতে
ফল হোতে
আমি সেই পাতাঝরা হেমন্তের শুকনো নদীর স্তনে
মিশে গেছি আত্মজ হয়ে
মাথার উপরে আজ জ্যোৎস্না নিয়ে শুয়ে থাকি একা
শিকড়ে জমেছে কালো নিঃশব্দ অন্ধকার
গাংচিল ভুলে
গেছে ডানা
কেবল নিমেষগুলো চুয়ে পড়ে
শীত শীত হাতে।
No comments:
Post a Comment