Friday, September 14, 2018

দুটি কবিতা সৈকত কুণ্ডু





শুদ্ধিপত্র
বেজে যায় ঘন্টা
                         এক
                         দুই
                         তিন
আমাদের গুনে চলা অভ্যেস
সিঁড়ি  বেয়ে উঠতে থাকে সাদা ফ্রক পরা মেঘ
মইয়ের অপরপ্রান্তে তখন  বৃষ্টির ফাতনায়
গেঁথে গেছে একটা পেটকাটি ঘুড়ি
ঘন্টার চরৈবেতি
টেবিলের উপর পড়ন্ত দুপুর হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে
আছেন আমার পুরোনো  দিনের মাস্টারমশাই
সারা হাত মাখা চক
নাকি শুদ্ধিপত্র
উনিও আকাশে ঘুড়িদের কতো নামে ডাকতেন
চাঁদিয়ালকে বলতেন ধূমকেতু
মোমবাতিকে আদর করে ডাকতেন মেঘনা
আর ঘন্টা পড়লেই হারিয়ে যেত ঘুড়িগুলো
উনি তখন বৃষ্টির মতো ঝরে পড়তেন আমাদের চৈতন্যের উপর

আজও সময়  মতো ঘন্টা গুনি
আর ফ্রক পরা মেঘেরা আমার হাতে পরিয়ে দেয় রাখি
কেবল
মাস্টারমশাইয়ের মতো বৃষ্টি হতে পারিনা।


শীত হাত

শীত হাতে ছিল তার দিগন্ত বিস্তৃত
ছিন্নমূল বেদনার কুঁড়ি
আমি তাকে জানি
সে আমাকে বলেছিল
গাছ হোতে
ফুল হোতে
ফল হোতে

আমি সেই পাতাঝরা হেমন্তের শুকনো নদীর স্তনে
মিশে গেছি আত্মজ হয়ে
মাথার উপরে আজ জ্যোৎস্না নিয়ে শুয়ে থাকি একা
শিকড়ে জমেছে কালো নিঃশব্দ অন্ধকার
গাংচিল  ভুলে গেছে ডানা

কেবল নিমেষগুলো চুয়ে পড়ে
শীত শীত হাতে। 





No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...