অন্তর্জলি
(১)
ঠিক একশো কুড়ি সেকেন্ড নীরবতা!
তখনও ভেসে যাচ্ছে কলস।
একটু আগে অর্দ্ধ মৃত চিনেছিল দিগন্তের নির্জনতা,
বহুদূর বালুচর আর ফুটে ওঠা ছাপ;
তৈতিল করণে জন্ম ছিল তার
শিয়রে লেগেছিল রাতেদের নোনা জল।
দৃশ্য ধরে রাখে গাছেদের সারি;
প্রজাপতিও এড়িয়ে যায় সন্তর্পণে রজনীগন্ধা..
(২)
ধোঁয়া ভরে যাচ্ছে কণায় কণায়
তীব্র দহন মাঝে অমৃত সন্ধানে যাত্রা;
শুধু ধূপ খোঁজে লৌকিকতা কালো তিলের মাঝে,
আকাশের ওপার থেকে ভেসে আসে গীতা পাঠ..
(৩)
ছেঁড়া ছেঁড়া পাতা
বিখ্যাত কারণ গুলো লেখা ছিল তাতে।
আকাশের তারা ছুঁয়ে নেমে এসো রাত-
আজ তোমাকে দেখাই হিসাবের গরমিল,
দেখাই কিভাবে ঘুণ খেয়েছিল নীরব সন্ধ্যায়।
ডানা ছাঁটা বৈরাগ্য করমর্দন করে তুলে এনেছিল ঘোলা জল।
বুকে ধরে দাঁড়িয়ে আছে ফোটো ফ্রেম;
পাদদেশ তবুও ডুবে আছে গঙ্গাজলে..
(৪)
বুক অবধি ডুবেও মৃত্যু থেকে উঠে এলাম।
ঘি মাখানো কাঠ মালসা ধাওয়া করেও বেগতিক বুঝে পালিয়েছে ।
ফিরে দেখি আয়নার পারদ কাচকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে,
থালা পড়ে আছে অপাংক্তেয় ভেবে
বহুলেখার স্তূপ- পাশে দাঁড়িপাল্লা বাটখারা।
প্রদীপের পাশে নিমডাল পেরেক;
বৃথা সব ভেবে গোমড়ানো হব্যিষি চলে গেছে বহুদূর।
পায়ের ছাপ তার ’পর ধূপের ছাই
দাগের ক্ষমতা ইতিহাস জানে ।
মহাকাল থেকে উঠে আসা সন্ধ্যাও ফিরিয়ে নিয়ে আসে সবকটা খসে পড়া পালক,
রক্তের ছোপ সে তো আবহমান প্রাপ্তি।
উগ্র গন্ধে ঘর তখনও মাতোয়ারা
শুধু দেখি সেই পলাতক হাওয়া আজও নীরব জিজ্ঞাসা করছে কুশল।
শুকিয়ে যাওয়া সলতে নিয়ে আসে ছায়াদের কারিগরি দেওয়ালে দেওয়ালে!
শিয়রে বসে আছে রাত
কানে আছড়ে পড়ছে ডোমেদের অভিশাপ ...
No comments:
Post a Comment