অশরীরী অবয়ব
পূর্বমেঘ ভেবে ছায়ার আঙুল ধরে ঝুলছি
জানি, ছায়া সরে গেলে আমি পড়ে যাব।
তার সাথে পড়ে যাবে লাউডগার মতো আমার এ বেড়ে ওঠা,
এবং নাছোড়বান্দা একটা পাহাড়ের জেদ।
মাঝবয়সী বুকে হামাগুড়ি দেয় যৌবন,
কখনো আহ্লাদী জ্যোৎস্না চোখ বুজিয়ে আসে।
আঙুলের ইশারা পেরোতে গিয়ে
মেঘটা শুধু আটকে যায় সীমান্তে,
ঠিক যেভাবে অরণ্য আগলে রাখে স্থবিরতা।
সাঙ্ঘাতিক নীরব তার হাসি,
জলের স্বভাবে মিশে যায় কান্নায়।
এখন চাঁদ ক্ষয়ে গেলে দেখি,
পথে পড়ে গিয়ে কিভাবে উঠে দাঁড়াতে
হয়, তা শেখাচ্ছে ছায়াদের মৃত্যু।
সবাই বলে ছায়াদের মৃত্যু নেই,
চিতাতে শুলেই ওরা তারা হয়ে যায়।
স্বচ্ছন্দ জীবন
চিকন হাসিতে মেয়েটা আবার গেয়ে উঠলো
একে একে উন্মুক্ত হল সব গানের দরজা,
অন্যমনস্ক পাখিটা শুধু খাঁচার ভিতর।
তার আসা-যাওয়ার পথে কারা যেন
বিছিয়ে রেখেছে কুটিল মরীচিকা
অমীমাংসিত চোখজোড়া ম্যাড়ম্যাড়ে
তবু সে প্রতিদিন জীবাশ্মে ভরে চলে প্রান।
একটা মেয়ে সকালে গান করে,
একটা মেয়ে বিকালে গান করে,
একটা মেয়ে রাতে গান করে।
আসলে তিনটে মেয়েই একজন,
যে কিনা পাখিটাকে বোঝাতে চায়-
তার ক্ষয়ে যাওয়া পালকের ইতিকথা।
শেখাতে চায়- একটা গোটা মুখস্থ আকাশ।
এবার তুমি যদি পাখিটাকে মেয়ে ভাবো,
তবে মেয়েটাকে পাখি ভাবতেই হবে।
সুন্দর দুটি কবিতা
ReplyDelete'ঠিক যেভাবে অরণ্য আগলে রাখে স্থবিরতা'
ReplyDeleteকি দারুন লিখলেন