পুনশ্চ
কী ভীষণ আলাপচারিতা থেকে তুলে আনছো বিকেলের গান। বয়ঃসন্ধির ইমন থেকে হংসধ্বনি অবধি যেটুকু আলাপ, তাকেই আবার শিখিয়ে দিচ্ছো এই নুপূরের স্রব, এই গার্হস্থ্যকল্যান... আর প্রসূতিসদন। যে তোমাকে জাগাচ্ছে যত বেশী, তুমি তার দিকেই সংশয়হীন ঝুঁকে পড়ছো বাৎসল্যের অনুতাপ নিয়ে।
এরপর প্রথাগত নিয়মেই বিনিময় হবে ডাক। অপ্রাকৃতিক কূটকচালি ছেড়ে সহজলভ্য হবে রোজকার রীতি ও রেওয়াজ। তবু কিছু অবরোহ হয়ত থেকেই যাবে পাখপাখালির ঈষৎ উদ্ভাসে। যদি বলো, তোমাকে এখনও সে প্রাচুর্যের দিকে নিয়ে যেতে পারি... নিয়ে যেতে পারি এখনও সে অভ্যেসের দিকে, যে আমাকে শিখিয়েছে প্রতিটা ভানই আসলে একেকটা আশ্রয়, আর প্রতিটা অনুকরণই আসলে একেকটা তাগিদ। সমস্ত উপাচার ছেড়ে স্বর, এখন নেমে আসছে ঘাসের ওপর। ক্রমে আরও সরলীকৃত হয়ে যাচ্ছে পাতা থেকে কুয়াশার দাগ। প্রবৃত্তি থেকে গেলে একইসাথে বেজে ওঠে করোটির যাবতীয় সুর।
বাদী থেকে পুনর্জন্মের দিকে ফিরতে পারে না সকলে, কেউ কেউ এখনও সহিষ্ণু হয়ে ওঠে..
No comments:
Post a Comment