Thursday, September 13, 2018

একগুচ্ছ কবিতা মনোতোষ বৈরাগী







স্টেশন-বিচ্ছেদ

কুয়াশা চায়ের কাপ, অদূরে মিশেছে
ধোঁয়া মুখে বাসি কথা।রক্তবীজ মাখা
         রন্ধ্রে রন্ধ্রে তুমি

চাদর জড়ানো শীত, মত্ত রোমকূপ
স্টেশন-টিকিট কাটো দশ টাকা দিয়ে

আড়ষ্ট চুম্বনে চাকা চিবুক পেরোয়


প্রসূতি

লতি-কচু আঁকা বাঁকা অবান্তর দেহ
শরীর উদ্দাম কাঁথা ছিঁড়ে নিতে চায়
লালসা জাগানো রাত ।নিশ্বাস গভীর

খুঁট করে হুক খোলো বিবস ক্রন্দন
জন্মের আকূতি নেই, পেট কুনোব্যঙ
জরায়ু কান্নায় ঢলে । রাস্তায় বিভাব

ন্যাল-সানি ভাঙে, উরু করুন চাহনি
অলিখিত শক্তি ক্ষয়। লতানো ফুসফুস


মিথ্যা প্রেম

ভাঁটি ফুল উড়ে লাগে হলুদ জামায়
আর চোখে পার হও, কথা চেপে হাসো
ডুবে ডুবে গুগলি খাও - ন্যাজে খেলা শুরু

নলীপোকা বুক কাটে, আঁশটে কাপড়
গন্ধ টানে নোনামাটি। পরে থাকে খুলি

সিগারেট আশা রাখে দস্তানার চিঠি
ঘুম ছেঁড়ে লাল শাড়ি সাদা পেটিকোট

স্বপ্ন দোষ ভোরে



সে দূরে

দিন দিন আয়ু কমে প্রেম বাড়ে বুকে
আঙিনায় অভিনয় ধূসর দুপুর

আ-মৃত্যু সংসার, শালা,  মিথ্যা চামড়া ঘিরে
রাক্ষুসে আঁধার আসে, রোদ চেটে খায়
যৌবনে বালিস কাঁদে ক্ষুরধার মরু

ভিখারী কপাট খোলো। নিংড়ে নাও ঋতু।

প্রত্যুষে খেচর ডাকে দেহ ভাঙে কাঁথা
জোনাকি আক্ষেপে ক্লান্ত নিভে দেয় বাতি



নিরুত্তর

ভোরেই বিড়ির ধোঁয়া, বাইসাইকেল
কুঁচকি খাঁজে বিষফোঁড়া টনটনে ব্যাথা
বিড়ির আগুন ওড়ে কার্বঙ্কল ঠোঁটে
ফেলে আসা চিঠি খাম।নিরুত্তর থাকো

টেনসেন শিরায় চেপে, সজোরে প্যাটেল
রাতেও বিড়ির ধোঁয়া । ঘন ঘন হিসু

ছিঁড়ে কুটিকুটি 

নদীর অন্তিম সুখ পেট ফোলা বালি
উলঙ্গ শরীর জুড়ে রক্ত স্রোত বয়ে
দূরে মোহনার দিকে। লজ্জাবতী ছুঁয়ে
নেতিয়ে পড়েছে দেহ । নিঃশব্দ ফতনা

ঝরাও দুফোঁটা অশ্রু কলঙ্ক কুড়িয়ে
বুক ঢাকো কাশ দিয়ে। গুমোট উনুন

ঝাঁঝরা করো অভিশাপে

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...