Thursday, September 13, 2018

কবিতা লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল







ছায়াপান
 

দুঃস্বপ্ন মাথায় নিয়ে ঢেউ চেয়েছি অনেক , চলে যাই 
ভোরের প্রথমে - সমস্ত বিস্তার নিয়ে পায়ে পায়ে মাটি 
মাখা সে পথ - কম্পিত আঙুল ডুবানো আলোয় 
কেবল আকাশের আপস , দুলতে থাকে ডালপালা - 
ঝরে পড়ে টপ্ টপ্  - রাতের স্নেহময়ী শিমুল , চিরঋনী 
নিঃশ্চুপ নির্গত শ্বাস , শুধু তার নিজের ভিতরে বাজে
স্বেচ্ছা-সমর্পণ । সারি সারি গাছ-পাতার প্রাণময় শস্যভূমি, 
যারা জানে না আগুন - যন্ত্রণার নিটোল সহন নিয়ে 
তাদেরও তো বাকি ছায়াপান ; কোথায় সব অলংকার- 
কোথায় সব গাঢ় চোখ - নির্জিত স্তনের এত সূর্য ভার - 
দখিনা বাতাসে তবু কাজল রমনী , ভুলে থাকি ক্ষত মুখ 
শুদ্ধ রক্তপাত - তারা লীন মাঠের উদ্বেগে। সেখানে 
চুইয়ে নামে চঞ্চল তিতির , হতাশ কুয়াশা শুধু উবে যায় 
মঙ্গল মঞ্জুষায় - অন্তরঙ্গ প্রতীক্ষা আমার - মাথা নুয়ে আসে -



ঋতুগত


ঋতুদের চরিত্র নিয়ে ভেসে যায় নিঃশ্বাসের চিৎসাঁতার ,
আলতো ভাবে পাতা উলটে চলেছি সুস্থতার ঘুমভাঙা 
আস্বাদে , কত লোক ভুলে গ্যাছে , এবং অন্য সকলকে 
অর্পণ করা প্রতিটি বীজ , রঙের আর জলের , নিবিড় 
ঢেউ খেলে যায় জগতের আলোয় - উপচিয়ে পড়ুক 
শেওলার নীল , অপেক্ষার জন্য দরজা খুলে দিতে 
বাঁচিয়ে রাখে অনিশ্চিত ত্রাণ। শিশির পড়তে শুরু হলে 
খিদে জাগে বসন্তে , ক্রমে ভিজে যায় চুল ও চাঁদের কার্নিশ। 
উড়ে যাওয়া অনুতাপে ভেসে আসে নদী,  হব্যিসান্ন নিয়ে -
কাটিয়ে এসেছি হি হি শীতের সাদামাটা জীবন । কয়েক 
চাদর নিয়ে ফিসফিসে কথাগুলি হাঁসফাস করে ,  দুঃখের 
শেষ নেই - শেষ নেই আগুনেরও - বদলে যায় চুপ মেঘের 
গায়ে শরীরের ভার - টুপটাপ ললিত আবেশ , যদি পারো 
স্পর্শ করো-

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...