ছায়াপান
দুঃস্বপ্ন মাথায় নিয়ে ঢেউ চেয়েছি অনেক , চলে যাই
ভোরের প্রথমে - সমস্ত বিস্তার নিয়ে পায়ে পায়ে মাটি
মাখা সে পথ - কম্পিত আঙুল ডুবানো আলোয়
কেবল আকাশের আপস , দুলতে থাকে ডালপালা -
ঝরে পড়ে টপ্ টপ্ - রাতের স্নেহময়ী শিমুল , চিরঋনী
নিঃশ্চুপ নির্গত শ্বাস , শুধু তার নিজের ভিতরে বাজে
স্বেচ্ছা-সমর্পণ । সারি সারি গাছ-পাতার প্রাণময় শস্যভূমি,
যারা জানে না আগুন - যন্ত্রণার নিটোল সহন নিয়ে
তাদেরও তো বাকি ছায়াপান ; কোথায় সব অলংকার-
কোথায় সব গাঢ় চোখ - নির্জিত স্তনের এত সূর্য ভার -
দখিনা বাতাসে তবু কাজল রমনী , ভুলে থাকি ক্ষত মুখ
শুদ্ধ রক্তপাত - তারা লীন মাঠের উদ্বেগে। সেখানে
চুইয়ে নামে চঞ্চল তিতির , হতাশ কুয়াশা শুধু উবে যায়
মঙ্গল মঞ্জুষায় - অন্তরঙ্গ প্রতীক্ষা আমার - মাথা নুয়ে আসে -
ঋতুগত
ঋতুদের চরিত্র নিয়ে ভেসে যায় নিঃশ্বাসের চিৎসাঁতার ,
আলতো ভাবে পাতা উলটে চলেছি সুস্থতার ঘুমভাঙা
আস্বাদে , কত লোক ভুলে গ্যাছে , এবং অন্য সকলকে
অর্পণ করা প্রতিটি বীজ , রঙের আর জলের , নিবিড়
ঢেউ খেলে যায় জগতের আলোয় - উপচিয়ে পড়ুক
শেওলার নীল , অপেক্ষার জন্য দরজা খুলে দিতে
বাঁচিয়ে রাখে অনিশ্চিত ত্রাণ। শিশির পড়তে শুরু হলে
খিদে জাগে বসন্তে , ক্রমে ভিজে যায় চুল ও চাঁদের কার্নিশ।
উড়ে যাওয়া অনুতাপে ভেসে আসে নদী, হব্যিসান্ন নিয়ে -
কাটিয়ে এসেছি হি হি শীতের সাদামাটা জীবন । কয়েক
চাদর নিয়ে ফিসফিসে কথাগুলি হাঁসফাস করে , দুঃখের
শেষ নেই - শেষ নেই আগুনেরও - বদলে যায় চুপ মেঘের
গায়ে শরীরের ভার - টুপটাপ ললিত আবেশ , যদি পারো
স্পর্শ করো-
No comments:
Post a Comment