পরাবাস্তব দিবাস্বপ্ন
জ্যামিতির কারুকাজহীন এক মুখশ্রীর কাছে
হাত পেতে দাঁড়ায়েছে পিকাসোর কবুতর, আর এক বিষণ্ণ বালক।
রৌদ্রসিক্ত শহরেতে সারাদিন আইসক্রিম বেচে হাক্লান্ত
জীবনানন্দ,
সেও বুঝি বলিয়াছে: পায়রারা, ইহাদের দেখিয়াছি আমি।
সকলেই দেখিয়াছে, ব্যতিক্রম
মম ত্রিনয়ন,
আমি রৌদ্র দেখিয়াছি, এই
দেশে আজিকে উৎসব
শোণিত স্রোতের প্রায় ঝরিতেছে সূর্যের কিরণ
মুণ্ডহীন দেহগুলি কদম কদম হাঁটে উত্তেজক সংগীতের তালে
হস্তপদহীন এক উচ্চকিত ব্যান্ডমাস্টার
বাজেয়াপ্ত করিতেছে তাহাদের শিরস্ত্রাণগুলি।
তথাপি এমত স্বপ্নে সকলেই পরিতৃপ্ত, আনন্দে অটুট
অট্ট অট্ট হাসিতেছে নরনারী নির্বিশেষে
সকলেই মহাব্যস্ত, ছাতাটি
খুলিয়া বলে: আসি ভাই, বড্ড কাজ আছে!
আমার এখানে কোন কাজ নাই: এই
গ্রহে একাকী মানব।
দর্শকের মত আমি এসকল স্বপ্নের ভিতরে ক্রমাগত হেঁটে চলি,
রুধিরের স্রোত বহে নদীবক্ষে: সভ্যতার সুচারু প্লাবন,
সেই নদী পার হয়ে কে আছো হে সন্তরণপটু
চলো যাই জ্যামিতির কারুকাজহীন ওই আধোচেনা মুখশ্রীর কাছে।
স্থির হয়ে দাঁড়ায়েছে সেইস্থানে পিকাসোর কবুতর আর এক বিষণ্ণ বালক,
দুজনেই গুলিবিদ্ধ:
কোনো জন্মে স্টিগমাটিক তাহারা ছিলোনা তবু
তাহাদের চক্ষু বাহি অশ্রুর বিকল্পে আজ অলৌকিক রক্ত ঝরিতেছে।।
ভাল লাগল, বিষেশত অলৌকিক রক্ত!
ReplyDeleteবিশেষত বানানটা ঠিক করা গেল না। দুঃখিত। স্বপন রায়।
ReplyDeleteএই কবিতার বক্তব্য, শৈলী, উপস্থাপন আমাকে আচ্ছন্ন করছে।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteবাহ ! বেশ গমগমে লাগল!
ReplyDelete... Pikasor sei kobutor kei to khunjchi .... jar danay chore ure chole jete pari, sei sundor sokale, somoy theke dure ... amiei sei bisonno balok, jakhon hansbo, anonde ...
ReplyDelete