Thursday, September 13, 2018

একগুচ্ছ কবিতা শুভম চক্রবর্তী






খেঁদি - পেঁচি - নূরজাহান



এ পাশে জড়াতে গিয়ে ওপাশে স্তনন
ঝপাঝপ কেঁপে ওঠে তৃপ্ত উপবন
বাকিটা গোপনই থাক
ভেতরে তলিয়ে যাক
প্রাকৃতজনের ভাষা বোঝেনা এ মন

----

আকাট মূর্খেরা সব আমি হয়ে যাই
নিজেই নিজের থুতু আকাশে ওড়াই
যে গান অতলে বাজে
সে গানের স্তনমাঝে
চুষে চেটে খুবলে খাবলে খাই ও গড়াই


নির্লজ্জ বেহায়া যারা তারা সব আমারই পুতুল
যে কোনো মুহূর্তে আমি কানসহ ছিঁড়ে নেব দুল
স্থাপন হবেনা কিছু
তাকাব না আগু-পিছু
বাজাবো ত্রিকোণ বাঁশি ধরে তরুমূল


দিগন্ত পেঁয়াজিমাত্র তাই যত্রতত্র দেখা যায়
যেভাবে শরীরী রাতে পায়ে হাতে নগ্নতা সহায়
এ সবই তৃষ্ণার জল
ছাড়িয়ে নেওয়া বাকল
স্পর্শযোগ্য ভাবি যেই ওমনি পুড়েছে সারা গায়

অশ্লীল অকথ্য স্নেহে আর কেউ কবিতা লেখেনা
ভালো সেজে আলো সেজে দিনেরাতে দিয়ে যাচ্ছে চেনা
কিঞ্চিত লজ্জার বশে
ধ্রুবতারা পড়ে খসে
তবুও প্রতিজ্ঞা করো আদিখ্যেতা ছাড়া আর কিছুই লিখবোনা

প্রতিটি মুহূর্তে আমি মূর্তিমান অতিনিশ্চয়তা
সমস্ত ঘূর্ণন জুড়ে পৃথিবী গোঙালো সেই কথা
তাছাড়া আর কী কাজ
খা দা খই ভাজ
বাড়ি বাড়ি দিয়ে আয় আমারই মহিমা লেখা চোতা


আমি নিজে রাত্রি নই রাত্রি তবু আমার একক
পুরুষাঙ্গ ভেবে ভেবে বোকাচণ্ডী প্রেমিকারা চুষে খাচ্ছে জোঁক
আমিও সেয়ানে সেয়ানে
খেঁদি- পেঁচি - নূরজাহানে
মেটাই মেটাচ্ছি মোটে ভ্রাম্যমাণ শোক



No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল। মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ। সাড়ে দশটার সময় ঘণ্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে। ...