খেঁদি - পেঁচি - নূরজাহান
১
এ পাশে জড়াতে গিয়ে ওপাশে স্তনন
ঝপাঝপ কেঁপে ওঠে তৃপ্ত উপবন
বাকিটা গোপনই থাক
ভেতরে তলিয়ে যাক
প্রাকৃতজনের ভাষা বোঝেনা এ মন
২
----
আকাট মূর্খেরা সব আমি হয়ে যাই
নিজেই নিজের থুতু আকাশে ওড়াই
যে গান অতলে বাজে
সে গানের স্তনমাঝে
চুষে চেটে খুবলে খাবলে খাই ও গড়াই
৩
নির্লজ্জ বেহায়া যারা তারা সব আমারই
পুতুল
যে কোনো মুহূর্তে আমি কানসহ ছিঁড়ে নেব দুল
স্থাপন হবেনা কিছু
তাকাব না আগু-পিছু
বাজাবো ত্রিকোণ বাঁশি ধরে তরুমূল
৪
দিগন্ত পেঁয়াজিমাত্র তাই যত্রতত্র দেখা
যায়
যেভাবে শরীরী রাতে পায়ে হাতে নগ্নতা সহায়
এ সবই তৃষ্ণার জল
ছাড়িয়ে নেওয়া বাকল
স্পর্শযোগ্য ভাবি যেই ওমনি পুড়েছে সারা গায়
৫
অশ্লীল অকথ্য স্নেহে আর কেউ কবিতা লেখেনা
ভালো সেজে আলো সেজে দিনেরাতে দিয়ে যাচ্ছে চেনা
কিঞ্চিত লজ্জার বশে
ধ্রুবতারা পড়ে খসে
তবুও প্রতিজ্ঞা করো আদিখ্যেতা ছাড়া আর কিছুই লিখবোনা
৬
প্রতিটি মুহূর্তে আমি মূর্তিমান অতিনিশ্চয়তা
সমস্ত ঘূর্ণন জুড়ে পৃথিবী গোঙালো সেই কথা
তাছাড়া আর কী কাজ
খা দা খই ভাজ
বাড়ি বাড়ি দিয়ে আয় আমারই মহিমা লেখা চোতা
৭
আমি নিজে রাত্রি নই রাত্রি তবু আমার একক
পুরুষাঙ্গ ভেবে ভেবে বোকাচণ্ডী প্রেমিকারা চুষে খাচ্ছে
জোঁক
আমিও সেয়ানে সেয়ানে
খেঁদি- পেঁচি - নূরজাহানে
মেটাই মেটাচ্ছি মোটে ভ্রাম্যমাণ শোক
No comments:
Post a Comment